জাতীয়

দেশের যেসব স্থানে পাওয়া যাচ্ছে ২টাকায় পেঁয়াজের কেজি

বাংলাদেশে স্থানীয় কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের প্রভাব এখন ভয়াবহভাবে পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও মহারাষ্ট্রের রপ্তানিকারকদের ওপর। সীমান্তে আটকে থাকা অন্তত ৩০ হাজার টন পেঁয়াজ দ্রুত নষ্ট হতে শুরু করায় বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা।

শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মালদহের মাহাদিপুর-সোনামসজিদ সীমান্ত ঘুরে দেখা যায়, নষ্ট হওয়ার আগেই বিক্রি করতে ৫০ কেজির পেঁয়াজের বস্তা মাত্র ১০০ রুপিতে ছাড়ছেন ব্যবসায়ীরা। অথচ মালদহের স্থানীয় বাজারে একই পেঁয়াজ ২০–২২ রুপি কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সীমান্ত থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার দূরের এ বাজারে কম দামে পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। কিন্তু পরিস্থিতি রপ্তানিকারকদের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রপ্তানিকারকদের অভিযোগ, বাংলাদেশি আমদানিকারকদের মৌখিক আশ্বাসের ভিত্তিতে ঘোজাডাঙ্গা, পেট্রাপোল, মাহাদিপুর ও হিলি সীমান্তে বিশাল পরিমাণ পেঁয়াজ মজুত করা হয়েছিল। শুধু মাহাদিপুরেই ছিল প্রায় ২০ হাজার টন।

ব্যবসায়ীরা জানান, রপ্তানি স্বাভাবিক থাকলে প্রতি কেজি ৩০–৩২ রুপিতে বিক্রি করে ৮–১০ রুপি মুনাফা করা যেত। কিন্তু আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পেঁয়াজ পচে যাচ্ছে। ক্ষতি সামাল দিতে প্রতিদিন শতাধিক শ্রমিক লাগিয়ে পচা পেঁয়াজ আলাদা করতে হচ্ছে।

রপ্তানিকারক সাজিরুল শেখ বলেন, “নাসিক ও ইন্দোর থেকে ২২ রুপি কেজি দরে পেঁয়াজ এনেছিলাম। এখন পচে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে ২, ৬ বা ১০ রুপিতে বিক্রি করতে হচ্ছে।”

আরেক ব্যবসায়ী জাকিরুল ইসলাম জানান, “বাংলাদেশ পরিষ্কার জানিয়েছে—তারা আপাতত পেঁয়াজ নেবে না।”

মালদহ ও দক্ষিণ দিনাজপুরের ব্যবসায়ীরা বলেন, দু’মাস আগেও বাংলাদেশে রপ্তানি স্বাভাবিক ছিল। সেই ধারাবাহিকতায় মজুত করা ৩০ হাজার টন পেঁয়াজ এখন তাদের জন্য গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *